রাবির শেরে বাংলা হলে নেই পৃথক পত্রিকা কক্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে নেই সম্পূর্ণ পৃথক পত্রিকা কক্ষ। খেলার কক্ষের একটা অংশ বোর্ড দিয়ে পৃথক করে বানানো হয়েছে পত্রিকা কক্ষ। সেই পৃথকীকরণটাও সম্পূর্ণ না। তাই, খেলার কক্ষের বিভিন্ন ধরনের শব্দ পত্রিকা কক্ষ থেকে উচ্চশব্দে শোনা যায়। এতে মনোযোগ সহকারে পত্রিকা পড়তে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এজন্য, পত্রিকা কক্ষ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া বা ইটের দেয়ালের মাধ্যমে পত্রিকা কক্ষকে আলাদা করে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। হল প্রশাসন বলছেন, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পর্কিত খবর
এবিষয়ে হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান,খেলার কক্ষের একটা অংশ বোর্ড দিয়ে পৃথক করে বানানো হয়েছে পত্রিকা কক্ষ। সেই পৃথকীকরণটাও সম্পূর্ণ না। নিচের অংশে বোর্ড দিয়ে পৃথক করলেও উপরের অংশ ফাকা। অন্যদিকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খেলার কক্ষটা খোলা থাকে। অনেকেই এসময় খেলার কক্ষে খেলা করেন। আবার অনেকেই ক্লাস শেষে এসময় পত্রিকা পড়তে আসেন পত্রিকা কক্ষে। এসময় খেলার কক্ষের খেলার ও কথাবার্তার বিভিন্ন শব্দ পত্রিকা কক্ষ থেকে উচ্চশব্দে শোনা যায়। এতে পত্রিকা পড়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই হলের শিক্ষার্থীদের। কারণ পত্রিকা অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে পড়ারও সুযোগ নেই।
এবিষয়ে এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাব উদ্দীন বলেন,'পত্রিকা হলো জ্ঞানের ভান্ডার। সবারই পত্রিকা পড়া উচিত। কারণ বিশ্বে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এর মাধ্যমে জানা যায়। এতে আমরা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারি। সম্পূর্ণ পৃথক পত্রিকা কক্ষের ব্যবস্থা করা উচিত হল প্রশাসনের।'
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হুদা বলেন,'খেলার কক্ষ থেকে পত্রিকা কক্ষে উচ্চস্বরে শব্দ আসায় পত্রিকা পড়তে অসুবিধা হয়। যদি পত্রিকা কক্ষটা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় বা ইটের দেয়াল দিয়ে পৃথক করে দেওয়া হয়,তাহলে ভালো হতো।'
এ বিষয়ে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন,'বিষয়টি আমি জানতাম না। বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ। এটার সমাধানে দ্রুতই পদক্ষেপ নিবো।'
পূর্ব পশ্চিম/জেআর